আফগানদের উড়িয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৭, শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩, ২২ আশ্বিন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

কৃপণ বোলিংয়ে ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে ৫৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস; মেহেদী হাসান মিরাজের এমন দুর্দমনীয় পারফরম্যান্সে অসহায় ছিল আফগানিস্তান। তার এমন পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ জয় তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটে। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে এমন বড় জয়ে রান রেটও বাড়িয়ে নিল টাইগাররা।

২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১০৫ রানের জয় তুলে নিয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে জয় ৬২ রানের। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে টানা তিন বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের কীর্তি গড়ল টাইগাররা।

১৫৭ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ২ ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর ২৭ রানে ফেরেন লিটন দাস। এরপর জুটি বাধেন একসঙ্গে বেড়ে ওঠা শান্ত ও মিরাজ। রানের চাকা সচল রেখে ৯৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ১২৪ রানের মাথায় মিরাজ ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর মাঠে নামেন সাকিব। জয় থেকে যখন ১১ রান দূরে অর্থাৎ ১৪৬ রানের মাথায় আজমাতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে ফেরেন সাকিব। তবে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন শান্ত।

এর আগে, টস হেরে সাকিব ও মিরাজের তোপে অল্প রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। অবশ্য রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ ওপেনিং জুটি ভয় দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তত ইনিংসের লাগাম নিজেদের দিকে টেনেছে বাংলাদেশ।

৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ও ২ উইকেট হারানোর আগে ৮৩ রান করা আফগানিস্তান ৪ উইকেট হারায় ১১২ রানের মধ্যে। ৪৭ রানের মাথায় এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট রহমত শাহকে নিয়ে ভালোই আগাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। 

তবে ৮৩ রানের মাথায় আবারও সাকিবের আঘাত। সেই একই টপ এজ হয়ে ফেরেন রহমত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিও। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১১২ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন তিনি।

তবে বাংলাদেশ তাদের কাঙ্খিত উইকেট পায় তার পরের ওভারে। মোস্তাফিজের বলে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহমানুল্লাহ। ৬২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি।

৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের এরপর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১২২ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট পূরণ করেন সাকিব। রশিদ খান যখন উইকেটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার মিরাজের আঘাত। 

সরাসরি বোল্ড করেন রশিদকে। দলের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ করতেই দারুণ গতিতে রান তুলতে থাকা আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানরা আর কোনো রানই করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭৬ বল বাকি থাকতেই ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা।

৮ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। রান দেয়ার ক্ষেত্রে সাকিবের চেয়েও কৃপণ ছিলেন মিরাজ। ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন মূল্যবান ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন বাকি দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়