নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক কি না, নিশ্চয়তা দিচ্ছে না ইইউ!

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:১৪, সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

  • ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক দল 
  • বাংলাদেশে এসে তারা যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদন করেছে
  • ইউরোপীয়ান কমিশনে এটি গৃহীত বা অনুমোদিত হয়নি
  • প্রতিবেদনকে ইউরোপীয় কমিশনের বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশের জাতীয় নির্বাচনটি সঠিক হয়নি বলে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল ইইউ প্রতিনিধি দল, সেই প্রতিবেদনের তথ্য শতভাগ সঠিক এমন নিশ্চয়তা এখন দিতে চাচ্ছে না সংস্থাটি। এমনকী সেই প্রতিবেদনটি ইউরোপীয়ান কমিশনে গৃহীত বা অনুমোদিত হয়নি। নির্বাচনের ২ মাস পর গত ৭ মার্চ ৩৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউরোপীয়ান কমিশন বলছে, পর্যবেক্ষকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনটির বিষয়ে কোনো দায়িত্ব নিবে না ইউরোপীয়ান কমিশন।

নির্বাচনের পর ইইউ এর এই ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বলেছিল, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় ভোটাররা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যথার্থ প্রার্থী বেছে নিতে পারেননি। ২০ দিনের ওই সফরে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে শতাধিক বৈঠক করে তারা।

সংস্থাটির দাবি ছিল, নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়নি। গণগ্রেফতারের কারণে বিএনপিকে আদালত পাড়ায় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। তবে এখন প্রতিবেদনটির বিষয়ে কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না ইউরোপীয়ান কমিশন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি তৈরি করেছে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল। বাংলাদেশে এসে তারা যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই এটি তৈরি। ইউরোপীয়ান কমিশনে এটি গৃহীত বা অনুমোদিত হয়নি। এই প্রতিবেদনকে ইউরোপীয় কমিশনের বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।

এই প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক কি না সেই নিশ্চয়তাও দিচ্ছে না। কিন্তু বিএনপিকে কেন আদালত পাড়ায় ব্যস্ত থাকতে হলো, কেন নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হলেন, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই প্রতিবেদনে। 

এছাড়া গত বছরের ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ডেকে নজিরবিহীন নাশকতা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের আগে একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইইউ।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব ফৌজদারি অপরাধের কারণে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার হন বিএনপি নেতারা। কোনো গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি। আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, নাশকতা, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ গুরুতর অপরাধের অভিযোগে আদালত পাড়ায় থাকতে হয়েছে বিএনপি নেতাদের। অথচ নির্বাচনের সময় এই গ্রেফতারকেই ইস্যু বানিয়ে নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য তকমা দিয়েছিল ইইউ।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়