ক্লিনিকের প্রবেশপথে টানাতে হবে লাইসেন্স ও কর্মকর্তাদের ছবি, মানতে হবে আরো ১০ নির্দেশনা

এখন থেকে দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের 'লাইসেন্স' প্রবেশপথে টানানো থাকবে। এছাড়া বাধ্যতামূলক ১০ টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্দেশনা  ১: বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশপথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে;

নির্দেশনা -২:
বেসরকারী হাসপাতাল/ ক্লিনিক/  ডায়াগনষ্টিকের যাবতীয় তথ্য সরবরাহের জন্য একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা থাকতে হবে। সেই কর্মকর্তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।  

নির্দেশনা -৩:
যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে এবং লাইসেন্স আছে শুধুমাত্র তারাই উল্লেখিত সেবা দিতে পারবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনোভাবেই সেবা প্রদান করতে পারবে না;

নির্দেশনা -৪:
প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার  অনুমোদন আছে শুধুমাত্র সেসব পরীক্ষাই করা যাবে এর বাইরে অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে।

নির্দেশনা -৫ 
বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সে অনুযায়ী শয্যা সংখ্যা  ও সকল শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

নির্দেশনা -৬:
হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সকল চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসি'র হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।

নির্দেশনা -৭:
হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।

নির্দেশনা -৮:
কোনো অবস্থাতেই নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া ডাক্তারের চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেশিয়া করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যে কোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি করা যাবে না।

নির্দেশনা -৯:
সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

নির্দেশনা -১০:
নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘অপারেশন থিয়েটার এটিকেট’ (শিষ্টাচার) মেনে চলতে হবে।