কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যু বার্ষিকী আজ

দিন বদল বাংলাদেশ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৫, বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩, ৭ আষাঢ় ১৪৩০
ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বাংলাদেশের কবিতায় এক অবিসস্মরণীয় নাম রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। মাটি ও মানুষের প্রতি আমূল দায়বদ্ধ এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক তিনি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই কবি।

কবির জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর পিতার কর্মস্থল বরিশাল জেলায়। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য। 

সাহস ও স্বপ্নে, শিল্প ও সংগ্রামে আপাদমস্তক সমর্পিত এ কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’, এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন- ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’।

মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। প্রয়াত এ কবি ও গীতিকার ‘প্রতিবাদী রোমান্টিক’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। 
আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কয়জন কবি বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম কবিতা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’।

রুদ্র ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

রুদ্রের উল্লেখযোগ্য রচনাবলি- উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে পাই স্বর্ণগ্রাম (১৯৮২), মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪), ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮), মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)। উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০)।

দিনবদলবিডি/Rabiul

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়